ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ রচনা

২০০৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আই.পি.এল (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) শুরু করবার কথা ঘোষনা করে বি.সি.সি.আই। এই লিগের ধারনাটি এসেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও আমেরিকার ন্যাশনাল বাস্কেটবল লিগ থেকে। বি.সি.সি.আই -এর সভাপতি ললিত মোদী এই ক্রিকেট লিগের মূল পরিকল্পনার দায়িত্বে ছিলেন।

এই লিগ পরিচলনার জন্য বি.সি.সি.আই একটি আই.পি.এল কাউন্সিল গঠন করেছিলেনযার সদস্য ছিলেন তত্কালীন বি.সি.সি.আই সভাপতি আই.এস.বিন্দ্রা। সহ-সভাপতি – বাজিব শুক্লা, ললিত মোদী ও অরুন জেটলি। এই গভর্নিং কাউন্সিল ৫ বছরের জন্য গঠন করা হয়েছে।

গঠন পদ্ধতি

২০০৭ সালের ৮ এপ্রিল বেঙ্গালুরুতে আই.পি.এল (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) -এর প্রথম খেলা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৮টি দোল গঠন করা হয়েছিল দেশী-বিদেশী, অভিজ্ঞ ও নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে। এই ৮টি দলের নাম হল – (ক) চেন্নাই সুপার কিংস (খ) রয়াল চ্যালেঞ্জের ব্যাঙ্গালোর (গ) মুম্বাই ইন্ডিয়ানস (ঘ) দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস (ঙ) ডেকান চার্জার্স (চ) রাজস্থান রয়ালস (ছ) কোলকাতা নাইট রাইডার্স (জ) কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।

কিন্তু বর্তমানে কিছু দল আছে যারা নিজের নামে পরিবর্তন করেছে তারা হলো দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস থেকে দিল্লি ক্যাপিটাল, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব থেকে পাঞ্জাব কিংস এবং ডেকান চার্জার্স দলটি হয়ে যায় সানরায়জার্স হায়দ্রাবাদ এবং আরও দুটি দল যুক্ত হয় সেটি হল গুজরাট টায়টান্স এবং লাখনাউ সুপার জায়ান্ট।

আই.পি.এল স্পন্সরশিপ

আই.পি.এল টুর্নামেন্টের স্পন্সরশিপ ছিল Real Estate Developer Universal এর স্বত্ব কেনবার জন্য ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আর সহকারী স্পন্সরশিপ হিসাবে ছিল ‘হিরোহোন্ডা’। এই প্রতিযোগিতায় সহকারী পানীয় হিসাবে পেপসিকে ৫ বছরের জন্য ১২.৫ লক্ষ ডলার দিতে হবে। ‘কিংফিশের এয়ারলাইনস’ আই.পি.এল -এর আম্পায়ার পার্টনার হয়েছে এবং সেই বাবদ তাদের দিতে হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা।

২০০৮ এর ১৫ জানুয়ারী ভারতের সোনি টি.ভি ও সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস কনসর্টিয়াম আই.পি.এল এর প্রথম ৫ বছরের জন্য টি.ভি প্রচার স্বত্ব পেয়েছে। এই বাবদ তারা আগামী ১০ বছরের বি.সি.সি.আই কে দেবে ৯১৮ মিলিয়ন ডলার এবং প্রতিযোগিতার পরিকাঠামো উন্নয়েনের জন্য ১০৮ মিলিয়ন ডলার খরচ করবে। এই টাকার ৮ শতাংশ খরচ হবে প্রাইজ মানি হিসাবে, ২০ শতাংশ পাবে আই.পি.এল এবং ৭২ শতাংশ পাবে ফ্রান্চচাইজিগুলি।

খেলোয়ারদের নিলাম

আই.পি.এল এর খেলোয়ারদের সংগ্রহ করেছে ৮টি দলের সত্ত্বাধিকারী নিলামের মাধ্যমে। এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২০ ফ্রেব্রুয়ারী। কিন্তু কিছু ভারতীয় খেলোয়াড় ‘আইকন’ হিসাবে নির্বাচিত হন। এঁরা হলেন – শচীন তেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলী, যুবরাজ সিং, এবং বীরেন্দ্র সেহবাগ।

এইসব ‘আইকন’ খেলোয়াড়দের টিমের সর্বোচ্চ দর পাওয়া খেলোয়াড়দের থেকে ১৫ শতাংশ বেশি টাকা পেয়েছেন। এইদিন ফ্রান্চচাইজি মালিকেরা ৭৭ জন খেলোয়াড়দের মধ্যে থেকে পছন্দ খেলোয়াড়দের বাছতে ৪০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন।

প্রাইজ মানি:

সম্পুর্ন প্রতিযোগিতার জন্য প্রাইজ মানি ধরা হয়েছে ৫ লক্ষ ডলার। তার মধ্যে বিজয়ী দোল ২ লক্ষ ডলার এবং বাকি টাকা পেয়েছে ম্যান অফ দি ম্যাচ ও অন্যান্য বিজেতেরা। তারকা খেলোয়াড়দের প্রত্যেক সিজনে ১.২ কোটি টাকা আয় করতে পারবেন এই প্রতিযোগিতা থেকে।

এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতার দ্বারা ক্রিকেটের মান কতটা উন্নত হবে তা এখনই বলা যাবে না তবে এই প্রতিযোগিতা যে ভারতীয় দর্শকদের কাছে জোরদার বিনোদনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসছে তাতে কোনো সন্দেহ নাই।

উপসংহার

১৮ই এপ্রিল থেকে ১ জুন অবধি এই প্রতিযোগিতা চলেছিল আর ফাইনালে যে দুটি দোল প্রতিযোগিতা করেছিল তারা হল রাজস্থান রয়ালস বাং চেন্নাই সুপার কিংস অর্থাৎ একদিকে শেন ওয়ার্ন এবং অন্যদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল এবং এই সূচনা বছরে রাজস্থান রয়ালস জয়ী হয়।

খনিজ তেলের রচনা

Leave a comment