পাটের রচনা

পাট গাছ হল একটি অর্থকরী তন্তুজ জাতীয় উদ্ভিদ। পাট গাছের আঁশকে পাট বলে। পাট ও পাটজাত দ্রব্য বিদেশে রপ্তানি করে ভারত প্রচুর বিদেশী মুদ্রা উপার্জন করে। পাট উৎপাদনে ভারত প্রথম স্থান অধিকার করেছে। পাট একটি প্রাচীন বা প্রচীন উপকরণ যা পাঠক বা শৃঙ্গার পরিধানের জন্য ব্যবহৃত হয়। পাট প্রাচীনকালে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল, কম্বোডিয়া, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি দেশগুলিতে প্রস্তুত করা হয়।

পাট চাষের পদ্ধতি

উর্বর পলিমাটি কিংবা দো-আঁশ মৃত্তিকা পাট চাষের উপযুক্ত। চৈত্র মাসের শেষের দিকে জমি চাষ করে পাটের বীজ রোপন করতে হয়। পাট চাষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন। ১৫০ সেমি.-২৫০ সেমি বৃষ্টিপাতে এর চাষ ভালো। বায়ুতে প্রচুর পরিমাণ আদ্রতা থাকলে পাট গাছ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পাত গাছের বৃদ্ধির সঙ্গে বৃষ্টিপাতের মাত্র বৃদ্ধিরও প্রয়োজন।

পাট গাছের গোড়ায় যাতে আগাছা না থাকে সেদিকে নজর রাখতে হয়। উষ্ণ ও আদ্র জলবায়ুতে পাট চাষ ভালো হয়। এটা চাষের জন্য প্রচুর উত্তাপের প্রয়োজন। ২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর অধিক উত্তাপে পাট চাষ ভালো হয়। শ্রাবণ মাসে পাট গাছ গোড়া থেকে কেটে এক একটি বান্ডিল বদ্ধ জলাশয়ে কুড়ি-পঞ্চিস দিন রেখে দিতে হয়।

জলে গাছের আঁশ বের করে শুকিয়ে নিতে হয়। পাটের শুকনো কান্ডগুলি পাটকাঠি নাম পরিচিত। ছাড়ানো আঁশ গুলি বান্ডিল বেঁধে বাজারে বিক্রির জন্য পাঠানো হয় আঁশ আমাদের দেশে দুই ধরনের পাট চাষ হয়আঁশ একটি তেতো এবং অন্যটি মিঠেআঁশ।‌‍

পাট গাছ সাধারণত ৫-৬ হাত উঁচু হয়। এই গাছের কোনো শাখা প্রশাখা থাকে না।

পাটের প্রাপ্তিস্থান

পাট উত্পাদনে ভারত পৃথিবীতে প্রথম স্থানের অধিকারী। ভারতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে বেশি পাট উৎপাদন করে থাকে। এছাড়াও অসম, বিহার, ওড়িশা, ইত্যাদি অঞ্চলে পাট উৎপন্ন হয়। ভারত ছাড়াও বর্তমানে মিশর প আমেরিকার কিছু কিছু অংশে পাট চাষ হয়।

পাটের ব্যবহার

পাট আমাদের নানান কাজে লাগে। পাট ও পাটকাঠি থেকে কাগজ প্রস্তুত করা হয়। আমরা পাটকাঠি জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করি। পাট থেকে চট, কাপড়, কার্পেট, চাদর ইত্যাদি তৈরী হয়। পাটকাঠি পানের বরজ তৈরী, ঘরের ছাউনি ইত্যাদির কাজে ব্যবহার করা হয়। ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাটের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ন। পাটের শিল্পজাত দ্রব্য রপ্তানি করে ভারত প্রচুর পরিমানে বিদেশী মুদ্রা অর্জন করে থাকে।

উপসংহার

পাট চাষ করে ভারত সরকার প্রচুর বিদেশী মুদ্রা অর্জন করে। কিন্তু নাইলনের সুতো, থলি ইত্যাদির ব্যবহার ক্রমশ বাড়ার ফলে পাটের প্রয়োজন কিছুটা হলেও কমেছে। এর ফলে কমেছে পাট চাষের পরিমাণও। পাট উৎপাদন যাতে আরো বেশি মাত্রায় করা যায় সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারকে নজর দিতে হবে।

ভূমিকম্প রচনা

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ রচনা

পণপ্রথা বাংলা রচনা

একটি কলমের আত্মকথা

1 thought on “পাটের রচনা”

Leave a comment